উত্তম দেব বলেন, “এটা নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি দুঃখিত।”
Published : 25 Aug 2024, 08:58 PM
সাতক্ষীরা পাসপোর্ট কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক নারী সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক উত্তম দেব এ ঘটনা ঘটান বলে ভুক্তভোগী আমিনা বিলকিস ময়না এই অভিযোগ করেন।
বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের’ জেলা প্রতিনিধি বলেন, “সম্প্রতি পাসপোর্ট অফিসে স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুন বেশি আবেদন পড়ছে। এ নিয়েই প্রতিবেদনের ফুটেজ ও আবেদনকারীদের বক্তব্য নেওয়ার জন্যই পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া হয়। শনিবারই সহকারী পরিচালকের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় ঠিক করা ছিল।
“কিন্তু আজকে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে ভিড় ঠেলে উপরে উঠে বারবার উনার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি উত্তর না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে টিভির বুম মাইক্রোফোন ফেলে দিতে উদ্যত হন। তার ধাক্কায় মাইক্রোফোনের তার ও ক্যামেরা ছিঁড়ে যায়।”
সহকারী পরিচালক উত্তম দেব রোববারই জামালপুর কার্যালয় থেকে সাতক্ষীরায় যোগদান করেন। জামালপুরেও তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সময় দিয়েও সাক্ষাতকার না দিয়ে নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম দেব বলেন, “এটা নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি দুঃখিত।”
নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছনার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সাতক্ষীরা টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগী আমিনা বিলকিস ময়না সংগঠনটির সদস্যসচিব।
সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, “আমিনা বিলকিস ময়নাকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি সাংবাদিকতার পথে বাধাস্বরূপ।”
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমিনা বিলকিস ময়নাকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকেও অবগত করবেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়নার কাছে ফোন দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জসিম উদ্দিন। তিনি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।