ঝড়-বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষ।
Published : 27 May 2024, 02:36 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে; এতে তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বাড়ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না যায়নি।
এদিকে রোববার থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুই দিনে তিতাসের পানি বেড়েছে দশমিক ৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে দশকি ৮৬ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো জানায়, তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, “বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে।
তবে পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবুও জেলার সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।