৫০ শয্যার হাসপাতালগুলো ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন বলে জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।

নীলফামারী সদরে সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

পর্যায়ক্রমে দেশের সব ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার সকালে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের দীঘল ডাঙ্গি গ্রামে সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান হয়েছে। শীঘ্রই অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে দ্রুত এ প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা হবে।

“সেইসঙ্গে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়া নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল পদায়ন এবং নতুন ভবনের আসবাবপত্রের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হবে।”

চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ এবং কার্ডিওলজি বিভাগ খোলার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করার।”

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন। জনসাধারণের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে নিজেদের ব্লাড পেসার ও ডায়াবেটিক চেকআপ করাবেন।

“সেইসঙ্গে গর্ভবতী নারীরা এই কমিউনিটি ক্লিনিকে আসবেন এবং সবসময় ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এখানে যোগাযোগ থাকলে গর্ভবতী মায়েরা যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন।”

সারা পৃথিবীর মানুষ এই কমিউনিটি ক্লিনিককে সম্মান করে বলে মন্তব্য করেন সামন্ত লাল সেন।

সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন শেষে সেখানে নিজের ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

এ সময় নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক এ বি এম আবু হানিফ, নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ফারুক আল মাসুদ, সিভিল সার্জন হাসিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন, পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।