শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে বন বিভাগ।
সোমবার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে এ মামলা করেন।
জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা সুমন কুমার সরকার জানিয়েছেন, এ নিয়ে ৫২ বছরে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে জেলায় দুটি মামলা করা হলো।
মামলায় উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. নুহু মিয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তে মৃত হাতিটির শরীরে জিআই তারের পোড়া দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে একদল বন্যহাতি ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় নজর রাখা হয় যেন এসব হাতি বা স্থানীয় মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়।
কিন্তু গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকায় একটি বন্যহাতির মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। শনিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রাথমিকভাবে বন কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে আসামি মো. নুহু মিয়ার বোরো ধান খেতে সংযোগ দেওয়া জিআই তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল আলম ভূইয়া।
স্বাধীনতার পর গত ৫২ বছরে এ সীমান্তে প্রায় অর্ধশত হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রথম মামলাটি করা হয় ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর। একটি হাতি হত্যার ঘটনায় জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিঝুড়ি রেঞ্জে চারজনকে আসামি করে প্রথম মামলা করে বন বিভাগ। এরপর সোমবার দ্বিতীয় মামলাটি করা হলো।
আরও পড়ুন: