শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু

নিহতের পরিবারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হক।

নিহত ৫২ বছর বয়সি বিজয় সাংমা উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের স্টীপেন মারাকের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি এমদাদুল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বন্যহাতির একটি দল বোরো ধান ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে।

“ফসল রক্ষায় কৃষকরা রাত জেগে ধান ক্ষেত পাহারা দিচ্ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্যহাতির দলটি বিজয়ের ধান ক্ষেতে হানা দেয়। এ সময় বিজয় হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন।

“এক পর্যায়ে বন্যহাতির দলটি বিজয়ের উপর পাল্টা আক্রমণ করে। এতে ক্ষেতে পড়ে গিয়ে হাতির পদতলে পিষ্ট হয়ে বুকে ও পেটে আঘাত পান তিনি।”

ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে স্বজনরা বন্যহাতির দলটিকে তাড়িয়ে গুরুতর অবস্থায় বিজয়কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

“অবস্থার অবনতি হলে তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।”

ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিজয় সাংমার পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

বন্যহাতির আক্রমণ থেকে পাহাড়ের মানুষের ফসল ও জানমাল রক্ষার্থে বন বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে বলেও তিনি জানান।

পুলিশ জানায়, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।