নাফ নদীতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি ২ জেলে আহত

মাঝি ইউসুফ বলেন, “আমরা হাত উঁচু করে, বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।”

মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে পরে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাফ নদীর মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

আহতরা হলেন, শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (৩৫) ও মাঝের ডেইল এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০) ।

ওসি ওসমান গণি জানান, এফবি মায়ের দোয়া নামের ফিশিং ট্রলারটি সাগর থেকে মাছ ধরে শাহ পরীর দ্বীপ জেটিতে ফেরার সময় মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ছোঁড়া গুলিতে দুই জন আহত হয়েছেন।

আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে পরে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার ছিদ্দিকের ট্রলারে ৯ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে চার দিন আগে তারা সেন্ট মার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।

“রোববার শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফেরার সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমার দুইজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, “আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে, বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।”

আহত জেলে মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “আমি ট্রলারের উপরে ছিলাম ট্রলারের ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে আমার গায়ে একটি গুলি লাগে।”

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা সুরাইয়া ইয়াছমিন জানান, “আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপর জন ফারুকের হাত ও পায়ে তিনটি গুলি লেগেছে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে বিজিবি বা কোস্ট গার্ডের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।