গাড়ির চাপ থাকায় ১৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
Published : 31 Dec 2022, 10:00 AM
ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে দশ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় নৌরুটে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
কুয়াশা কিছুটা কমে আসায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
যাত্রী ও গাড়ির চাপ থাকায় ১৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে বলে বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় রাত ১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় শতাধিক ছোট বড় যানবাহন ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে নদী পথ দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায়। তাই নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝ নদীতে তিনটি ফেরি আটকা পড়ে।
সকাল ৯টায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে; ফেরিগুলো নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
সারা রাত তীব্র শীতের মধ্যে পথে আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিভিন্ন গাড়ির চালক ও যাত্রীদের।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, “ভোরে যশোর থেকে রওনা দিয়েছি। সকাল ৯টায় ঘাটে এসে জানতে পারি ফেরি বন্ধ। ঘাটে গাড়ির লম্বা সিরিয়াল সৃষ্টি হয়েছে।”
সোবাহান মোল্লা নামের আরেক যাত্রী বলেন, “জরুরি কাজে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ভোর ৬টা থেকে ঘাটে এসে বসে আছি। কখন ফেরি চালু হবে সেটা জানি না; খুবই দুর্ভোগে আছি।”
সকাল ৯টার দিকে কথা হয় ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক ইসলাম সরদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “শুক্রবার রাত একটা থেকে এখনও ঘাটে বসে আছি। ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিলো। সারারাত শীতে কষ্ট পাইছি।”