“আবুল কালাম আওয়ামী সরকারের দোসর, বিএনপির কিছু নামধারী নেতা তাকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছিলেন; যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
Published : 16 Mar 2025, 02:46 PM
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার এজাহারনামীয় আসামি রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে পুলিশে ধরিয়ে দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তাকে ছাড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাদের একটি অংশ থানায় ‘তদবির’ করতে গেলে বিএনপির আরেক পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় থানা প্রাঙ্গনেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসামিকে আদালতে নিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভেতরে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে ওই থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ জানান।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম (৫৫) একসময় পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি দল পরিবর্তন করে রাজশাহী ট্রাক-কভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং সার ডিলার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন বলে জানা গেছে।
আবুল কালাম গত বছরের ৫ অগাস্টে আন্দোলনকারিদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার ৬৫ নম্বর আসামি বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ জানান।
কৃষকদলের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন সরকার টিটু বলেন, “আবুল কালাম আওয়ামী সরকারের দোসর, তা জানা সত্ত্বেও বিএনপির কিছু নামধারী নেতা তাকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছিলেন; যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তিনি বলেন, “আমরা যখন প্রতিবাদ করি, তখন থানার ভেতরে ওসিসহ উপস্থিত সবার সামনে আবুল কালাম আমাকে লাথি মারেন। এছাড়া বিএনপির কিছু নেতাকর্মীও আমাদের লাঞ্ছিত করে।”
শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলছেন, আবুল কালাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই ছিলেন। ব্যবসায়িক স্বার্থে তাকে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হয়েছে। তাকে মূলত ট্রাক-কভার্ড ভ্যান সমিতি দখল নিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলছেন, “বিএনপির কিছু নেতা আবুল কালামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন; তবে কেউ আসামিকে ছাড়াতে তদবির করেননি। যেহেতু তিনি এজাহারভুক্ত আসামি, তাই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আবুল কালামের গ্রেপ্তারের পর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী থানার সামনে জড়ো হন। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের থানা থেকে বের করে দেয়।”