দুটি কারখানা থেকে ৯ টন ভেজাল গুড় ও ২৪ টন চিনির সিরাপ জব্দ করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
Published : 16 Feb 2023, 07:46 PM
নাটোরের গুরুদাসপুরে নকল খেজুরের গুড় বানানোর অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীর প্রায় দেড়লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। এ সময় ৯ টন ভেজাল গুড় ও ২৪ টন ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁচকৈড় বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব এই যৌথ অভিযান চালায় বলে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন জানান।
ফরহাদ হোসেন বলেন, যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য-দ্রব্য উৎপাদনের অপরাধে চাঁচকৈড় বাজারের মেসার্স আলামিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আলামিন সোনারকে এক লাখ টাকা এবং মুক্তার এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মুক্তার শাহকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ৯ হাজার ৪০০ কেজি ‘ভেজাল গুড়’ ও ২৪ হাজার ৩০০ কেজি ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয় বলে ওই র্যাব কর্মকর্তা জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের নাটোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নির্দেশে জব্দকৃত ভেজাল আলামতসমূহ উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জরিমানার ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।
কীভাবে নকল খেজুরের গুড় তৈরি করা হয় জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, বাজার থেকে চিনিমিশ্রিত ‘ভেজাল গুড়’ কিনে মেশিনে ভাঙিয়ে গুঁড়ো করে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা। এরপর ‘ভেজাল গুড়’ আগুনে জ্বালিয়ে তরল করে বিভিন্ন রাসায়নিক ও ‘খেজুর গুড়ের ফ্লেভার’ মিশেয়ে নকল খেজুরের গুড় তৈরি করে।
“এসব কথিত খেজুরের গুড়ে এক ফোঁটাও খেজুরের রস থাকে না। ওই ভেজাল ব্যবসায়ীরাই স্বীকার করেছে এই গুড় ভালো না।”
সিলেট অঞ্চলে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে তৈরি নকল খেজুরের গুড় বেশি বিক্রি হয় বলে জানান তানভীর।