পৌরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার করার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
Published : 29 Nov 2024, 01:07 AM
কুড়িগ্রাম সদরে জিয়া বাজারের দোকানে উচ্ছেদের নামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা।
বৃহস্পতিবার জিয়া আদর্শ বাজার সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে কুড়িগ্রাম পৌরসভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, জিয়া বাজারের চাল দোকান মালিকরা ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। ১৩ নভেম্বর জেলা যুগ্ম জজ আদালত-১ এর নাজির পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি শতাধিক বহিরাগত লোকজন নিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকানপাট ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
কোন প্রকার নোটিস ছাড়াই দোকানপাট উচ্ছেদ ব্যবসায়ীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। উচ্ছেদ নেতৃত্ব দেওয়া ডা. অমিত কুমার ও জাহাঙ্গীরের লোকজন বাজারে নতুন স্থাপনার কাজ শুরু করেছেন।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সালাম বলেন, “বছরের পর বছর ওই জায়গা পৌরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়ে আমরা ব্যবসা করে আসছি। ৪০ বছর পর অমিত কুমার ও জাহাঙ্গীর ওই জায়গার মালিকা দাবি করলেও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেন নাই।
“যদি তারা প্রকৃত মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের কোনো প্রকার নোটিস ছাড়াই এভাবে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা অবৈধ। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে পৌরসভা ও থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো প্রকার আইনি সহায়তা পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা অসহায় ও নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। কেউ তাদেকে সহযোগিতা করছেন না।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে অমিত কুমার বসু বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জাহাঙ্গীর আমার কর্মচারী তাকে সহযোগিতা করার কারণে আমার নামে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে।”
জিয়া বাজারের জমি দাবি করা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আদালতের রায় ও বৈধ কাগজ অনুযায়ী ওই জমির মালিক আমি। অন্যায়ভাবে জমির মালিকানা দাবি করার কোনো এখতিয়ার আমার নেই।”
বাজার উচ্ছেদ ও হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে কুড়িগ্রাম পৌর সভার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, “ওই বাজারের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”