গুরুতর আহত হয়ে বাতেন পাশের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার দেন। লোকজন বের হয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে থাকতে দেখে।
Published : 17 Jun 2024, 10:32 PM
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় মসজিদের শয়নকক্ষে এক ইমামকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করার পর হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
রোববার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক।
নিহত মাওলানা আব্দুল বাতেন (৬০) ওই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সন্যাসীপাড়ার বাসিন্দা। তিনি রংছাতি দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার ও পাশের বিশাউতি বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। রাতে তিনি মসজিদের বারান্দায় থাকা ইমামের কক্ষে থাকতেন।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, রোববার রাত আড়াইটার দিকে মসজিদের শয়নকক্ষে দুর্বৃত্তরা ইমামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত হয়ে বাতেন মসজিদের পাশে একটি বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার দেন। তা শুনে লোকজন বের হয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে থাকতে দেখে। তখন তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠান। পরে সোমবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ বলেন, “শেষ রাতের দিকে মাওলানা আব্দুল বাতেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়।”
মাওলানা বাতেনের বড় ছেলে বদিউজ্জামান বদি বলেন, “কে বা কারা আমার বাবাকে এমন নির্মমভাবে খুন করেছে জানি না। আমার বাবা তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।”
ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, “কী কারণে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
“সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে ক্রাইমসিনটি ঘিরে রেখে সেটি সংরক্ষণ করবে। এতে আরও আলামত পাওয়া যেতে পারে। ঘটনার তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। “
তিনি আরও বলেন, লাশ মমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সেখানেই ময়নাতদন্তের পর লাশ আসতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে।