আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
Published : 05 Oct 2024, 07:08 PM
আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময় ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে হবে।
শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে সচেতনতা সভায় এ আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, “ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। প্রজনন মৌসুমে এই মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এ সময় যদি ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকা যায়, তাহলে এই মাছের উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাবে।
“সারা দেশে ইলিশের ব্যাপারে যে কর্মসূচিই নেই না কেন, নড়িয়া উপজেলায় বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে। কারণ এ এলাকার জেলেদের বিকল্প কোনো কাজের ব্যবস্থা নেই।”
তাই ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় এ অঞ্চলের জেলেদের ২৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৩০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়া কথা বলেছেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, “আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। আপনারা দয়া করে এ সময় ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
“ইলিশ উৎপাদনে দেশে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনে খেতে পারেন না। তবে দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সে লক্ষে আমরা কাজ করছি।”
মৎস্য অধিদপ্তরে আয়োজনে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পরিচালক মোল্লা এমদাদ উল্লা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধূরী, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরল ইসলাম, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য এবং শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাদিউজ্জামান বক্তব্য দেন।