ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতু এলাকার এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
Published : 26 Apr 2025, 10:16 AM
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইজারাদারদের সঙ্গে অস্থায়ী দোকানদারদের সংঘর্ষ, ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীপুর পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতু এলাকার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এদিন বিকালে অস্থায়ী দোকানগুলোয় ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। হঠাৎ শতাধিক যুবক লাঠি, রামদা হাতে এসব দোকোনের ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করে।
এমন সংঘর্ষে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন। আতঙ্কে ক্রেতারা আশেপাশে ছুটে যান।
এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা।
মাওনা চৌরাস্তার অস্থায়ী ইজারাদার কাজল ফকির বলেন, “গত পহেলা বৈশাখ থেকে সরকারি বিধি মোতাবেক মাওনা চৌরাস্তার অস্থায়ী বাজারের বৈধ ইজারাদার হিসেবে খাজনা তোলার অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন।
“কিন্তু জাহিদ নামে এক ব্যবসায়ী বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা শুরু করে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে আমার লোকজন খাজনা তুলতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু সময় আগে আমার লোকজন খাজনা তুলতে গেলে তাদের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে জাহিদের নেতৃত্বে হামলা চালায় ব্যাপক মারধর করে। তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
“পরে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। এতে আমার ১০-১৫জন আহত হয়েছে।”
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কাজল ফকির মাওনা চৌরাস্তার ইজারা পাওয়ার পর স্লিপে কোনো ধরনের টাকার পরিমাণ উল্লেখ না করেই দৈনিক হারে কারও কাছ থেকে ৫০০, কারও কাছ থেকে ২০০, ১০০ টাকা আদায় করছে।
কেউ যদি তাদের নির্ধারিত ইজারা দেয়ার অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া হতো। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী জাহিদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মাওনা চৌরাস্তার ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইজারার নামে চাঁদাবাজি করছে শ্রীপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিকদল থেকে বহিস্কৃত কাজল ফকির।
“চাঁদাবাজি বন্ধে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে কাজল ফকির ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার বিকালে শতাধিক লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করে।”
হামলায় নিজেও আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার মাথায় দা দিয়ে কোপ দিয়েছে। আমাদের ১৫-২০জনের মতো আহত হয়েছে।”
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ঘটনার পরপরই শ্রীপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে কোনো পক্ষ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি।