জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।
Published : 18 Sep 2024, 03:22 PM
পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়িতে `মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকালে এই কর্মসূচিতে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।
পরে চেঙ্গী স্কয়ারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিসহ সব গ্রেডের চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা বহাল রাখার দাবি জানান।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, রাষ্ট্র সংস্কারে আদিবাসিদের মূল্যায়ন, স্ব-স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ১৯০০ সালের পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বহাল রাখার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ফুটন্ত চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রিপুল চাকমা, ক্যসিং মারমা, প্রণয় চাকমা, কৃপায়ন ত্রিপুরা, মংসাই মারমা।
ফুটন্ত চাকমা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। দিনে-দুপুরে মানুষ খুন হত।
“পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিপূর্বক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জেলা পরিষদের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
আরেক শিক্ষার্থী ক্যসিং মারমা বলেন, “মাদক ও যুব সমাজ গড়তে ক্রীড়াকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারি অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাহাড়িদের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।”
কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকারি বা বেসরকারি কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীর 'পানিশমেন্ট জোন' হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
চাকরির ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয়দের পদায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
সমাবেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও করেন শিক্ষার্থীরা।