এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
Published : 29 Apr 2024, 09:37 PM
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় দাবি করা চাঁদা না পেয়ে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে মারধর করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুই দিন আগে হামলার ঘটনায় রোববার ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে আট থেকে নয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ মামলার দুই নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. গোলাম মোস্তফা সরকার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টারের ভাগনে।
গোলাম মোস্তফাকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দেবিদ্বার থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মান্নান (৮০) উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের উজানিকান্দি গ্রামে বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার ছেলে ছেলের নাম প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন সরকার।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, “বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মান্নানের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশীর জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ওই প্রতিবেশী বহিরাগত লোকজন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রুহুল আমিনের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
“শনিবার দুপুরে এক প্রতিবেশী ও গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে আট থেকে নয়জনের একটি দল দেশি অস্ত্র নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ফের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে তারা মজিবুর রহমান, তার ছেলে রুহুল আমিন ও ভাতিজা শাকিল সরকারকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।”
বাদী রুহুল আমিন সরকার বলেন, “গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করে আসছেন। অনেক দিন ধরে তিনি চাঁদার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
“ঘটনার দিন তারা দলবল নিয়ে বাড়িতে এসে চাঁদা চান, না দিলে বাবাসহ আমাদের মারধর করে এবং আমার কাছ থেকে ১০০ টাকার তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে সই নেন।”
এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, হামলার অভিযোগে মামলার পর গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।