স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি, বলেন তিনি।
Published : 08 Nov 2024, 11:30 PM
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের জায়গা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু।
তিনি বলেছেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বাকশালীদের জায়গা নেই। তেমন কী তাদের দোসরদেরও জায়গা হবে না, হবে না।”
শুক্রবার বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভাগীয় সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসর যারা আস্ফালন দেখাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, তাদের গ্রেপ্তার করে রংপুরসহ দেশের মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এই রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। কোনো সরকারই তিস্তা মহাপরিকল্পনা করে এই অঞ্চলের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। একটি ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে এই অঞ্চলে কভার করা সম্ভব না।”
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, “এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষই দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সম্ভাবনা অঞ্চল এই রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিল্পনীতি করে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।”
“রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মিষ্টি কুমড়াসহ ১০টি পণ্য দেশের বাইরে যায়। তাই কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিলে পুরো দেশ উপকৃত হবে।”
রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার আর নির্বাচনের কার্যক্রম একইসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। গণঅভুত্থ্যান পরবর্তী দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সাধন করতে হবে।”
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, “রংপুর তথা দেশের মানুষের কাছে আবেদন, আপনারা আবু সাঈদকে ভুলবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তাহলে তরুণরা আবু সাঈদকে ধারণ করে এই দেশের নেতৃত্ব দিতে পারে।”
বিভাগীয় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান, মুখ্য আলোচক হানিফ খান সজিব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন, সহপ্রচার সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, সদস্য কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান।