সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুম রচিত দুটি গ্রন্থ "আমার স্বপ্ন - উৎকর্ষের দৌড়ে নানা চ্যালেঞ্জ'' এবং "চকিত ভাবনা"র বাংলা সংস্করণটির প্রবাসীদের প্রচারণা ও বিতরণ করা হয়েছে।
Published : 12 Nov 2017, 06:43 PM
এ উপলক্ষে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদ সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, শওকত আকবর, সিনিয়র যুগ্ম মইন উদ্দীন, মনিরুল ইসলাম মনির, জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি, গোলাম কাদের ইফতি, আইউব খানসহ অন্যরা।
১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, ১৯৯৫ সালে দুবাইয়ের যুবরাজ মনোনীত হন শেখ মোহাম্মদ। ২০০৬ সালে দুবাই'র শাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পাশাপাশি তিনি আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হোন।
ভিশন-২০২১ এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন তিনি। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের ‘সুশৃঙ্খল কৌশলগত পরিকল্পনার স্থপতি’ বলা হয়।
দ্বিতীয় বইটি হলো ‘আমার স্বপ্ন - উৎকর্ষের দৌড়ে নানা চ্যালেঞ্জ’। এতে শেখ মোহাম্মদ আমিরাতের উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতার বর্ণনায় বলেন, “উন্নয়নের জন্য একটি মৌলিক পরিকল্পনা ও একটি নিবেদিত নেতৃত্ব। যিনি তাঁর জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও নির্বাহী দল যারা তাদের নেতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম।”
এই গ্রন্থ দুটি মূল আরবি হতে ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, হিন্দি মালায়ালামসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় তার বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবী কেন্দ্রীয় কমিটির ইফতেখার হোসেন বাবুল গ্রন্থ দুটি বাংলায় প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ইউএই- তে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে কম্যুনিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,"এই গ্রন্থগুলোর মাধ্যমে আমরা আমিরাতের উন্নয়নের একজন অগ্রদূতের সুযোগ্য নেতৃত্ব, উন্নয়নের কৌশল ও সর্বোপরি এ আরব নেতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারব।"
অনুষ্ঠানে পরিষদ কর্মীদের মধ্যে বই দুটি বিতরণ করা হয়।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |