জামালপুরের মানুষকে ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকার ‘প্রয়োজন হবে না’ বলে জানান তিনি।
Published : 08 Jul 2024, 07:10 PM
আমরা জনপ্রতিনিধি। আজ যে অবস্থায় এসেছি, সেখানে নিয়ে এসেছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। আজ জামালপুরের যে উন্নয়ন করেছি, সবকিছুর মূল কৃতিত্ব প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাংসদ মির্জা আজম।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসে গুলশান টেরেসের মিলনায়তনে ‘প্রবাসী জামালপুরবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মির্জা আজম বলেন, “আমার জেলা জামালপুরের যত উন্নয়ন দেখেন, কৃতিত্ব আমার নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার এলাকার মানুষদের। তারা টানা ৭ বার আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী করেছেন। টানা ৩৪ বছর তাদের সমর্থনে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছি।”
নিজের রাজনৈতিক জীবনের নানা চড়াই উৎরাইয়ের গল্প বলে যুবলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যখন যে কাজের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, সেই প্রকল্পের অনুমোদন তিনি দিয়েছেন। তার সুফল হিসেবে শুধু আমার নির্বাচনী এলাকা নয়, সারা জেলার উন্নয়নে কাজের সুযোগ পেয়েছি। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের নেত্রীর সুবাদে ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছি জামালপুর জেলার জন্য।”
মির্জা আজম জানান, তার প্রস্তাবিত জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জামালপুর-ঢাকার মধ্যকার দূরত্ব হবে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। এতে জামালপুরের কোনো মানুষকে ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্ট বা বাসা ভাড়া করে থাকার প্রয়োজন হবে না।
মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।
ফরিদ আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সালেহ শফিক গেন্দা, শাহাদৎ হোসেন বাবু, মোর্শেদা জামান, আশরাফুজ্জামান, জিল্লুর রহমান, খন্দকার আবু মুরাদ, সাইদুর রহমান শেলী, অজিৎ ভৌমিক, নাসির ইকবাল, খন্দকার মারুফ, আলমগীর খান আলম, রবিউল ইসলাম শফিকুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, মশিউর রহমান জাস্টিস, আবুবকর সিদ্দিক ও আব্দুস সামাদ আজাদ।
পারিবারিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রীতি সম্মিলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। ১০ জুলাই তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে যাবেন।