বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণ করেন প্রবাসী নেতারা।
Published : 16 Aug 2024, 06:31 AM
কুয়েতে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানী কুয়েত সিটির একটি হোটেলে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেন তারা।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের ঘাতকচক্র এখনও সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। সেই জায়গা থেকে এ অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণ করে প্রবাসী নেতারা বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, পরবর্তীতে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গোটা বিশ্ব ওয়াকিবহাল।”
‘দাবি পূরণ হলেও’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ অভিযোগ করে নেতারা বলেন, “গোটা বাংলাদেশে জ্বালাও, পুড়াও আর ভাঙচুরে মেতে ওঠে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে বাদ যায়নি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরটিও। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য ভাঙচুর করে চরম অবমাননা করেছে তারা।”
প্রবাসী নেতারা সব হত্যার বিচারের পাশাপাশি যারা দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলীম উদ্দিন, শাহ নেওয়াজ নজরুল, মুরাদুল হক চৌধুরী, আব্দুল খালেক, শামছুল হক, সুরুক মিয়া, রোকনুজ্জামান পিদু, রাশেদ মোশাররফ পাঠান, ইমাম উদ্দিন বাদল, জাকির হোসেন, মীর শাহিন, কামাল আহমদ, শাহ করিম ও কবির আহমদ।