বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো ভাবনা নেই: কাদের

“আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে তারা এখন নিজেরাই ভিসা নীতির ফাঁদে পড়েছে,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2023, 05:50 PM
Updated : 9 June 2023, 05:50 PM

বিএনপির সঙ্গে আপাতত সংলাপের কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “আশার প্রদীপ কোনদিনও নেভে না। কিন্তু আজকে আপনি আমাদেরকে বলতেছেন সরকারি দলকে সংলাপের কথা। আমরা আপাতত এই নিয়ে ভাবছি না।

“গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছি, সংলাপ নিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই, সিদ্ধান্ত নেই। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলতে পারব। এই মুহূর্তে নেই।”

শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে গণভবনের ফটকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা (বিএনপি) বারবার একই কথা বলে, বিগত নির্বাচনে তারা বারবার একই কথা বলেছে। পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসেনি। এবার কী হবে জানি না। নির্বাচন ছাড়া তাদের আগুন-সন্ত্রাস তৎপরতা, নির্বাচনে বাধা দেবার ইচ্ছা থাকতে পারে।

Also Read: বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করে লাভ কী: কাদের

Also Read: বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত হয়নি: কাদের

“তবে তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে তারা এখন নিজেরাই ভিসা নীতির ফাঁদে পড়েছে। ভিসা নিতে এসব আগুন সন্ত্রাস, নির্বাচনে বাধা দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা-ওই নিয়ম নীতির আওতায় পড়ে। এটা শোনার পরে তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। মুখে যদিও বলছে না।"

২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলোপের পর থেকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে।

সেই দ্বন্দ্ব নিরসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ থেকে সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো এসে দুই দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও দূরত্ব ঘোচেনি। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।

আগের মতভেদ নিয়ে ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে গণভবনে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। তবে সেই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এখন তারা অটল অবস্থান নিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে দুদিন আগে ১৪ দলের এক সমাবেশে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন; যদিও একদিন বাদেই তিনি বক্তব্য পরিবর্তন করেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, "বিএনপি তাদের মধ্যে নেগেটিভ মনোভাব পোষণ করছে। যে নেতিবাচক বিষয়টা তারা নিয়ে আসছে- তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই তিনটি না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না।

“আমরা বলছি- এই তিনটি বিষয় কোন কারণে? সরকার কেন পদত্যাগ করবে? কোন কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবে? কোন কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার?"

তিনি বলেন, "তারা বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছে। উচ্চ আদালত দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ না। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা ডেড ইস্যু। এটাকে নতুন করে জীবিত করব কেন? এটা তো আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে কেন হবে না? আমাদের সংবিধান আছে।

"আর প্রধানমন্ত্রী কী কারণে পদত্যাগ করবেন? সংসদের সদস্যরা কি তাকে চান না? পার্লামেন্টে যদি তিনি মেজরিটি হারান তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।"