নির্বাচনে সব পক্ষের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: যুক্তরাষ্ট্র

“নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি”, ব্রিফিংয়ে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2023, 12:56 PM
Updated : 24 Oct 2023, 12:56 PM

তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচন বর্জনে বিরোধীদের আগাম ঘোষণার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবার বাংলাদেশে সব পক্ষের শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।

বিরোধীদের আন্দোলনের কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের মধ্যে এমন বক্তব্য এল দেশটির পক্ষ থেকে।

সোমবার রাতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সব পক্ষের শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারাটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

“যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম এবং অতি অবশ্যই ভোটাররা।”

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এখন যে দাবিতে আন্দোলনে, সেই একই দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে তারা। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা এলেও পুরনো দাবিতে ফিরে গেছে তারা।

দলটির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যও এসেছে, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে সরকার নির্বাচন করতে পারলেও এবার আর পারবে না।’

আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ এর ডাক দেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে, সেদিন থেকে আন্দোলনের ‘মহাযাত্রা’ শুরু হবে।

তবে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের সুযোগ নেই। নেতাদের বক্তব্য হলো, ‘কেউ ভোটে আসবে কি আসবে না, সেটি কোনো দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে নির্বাচন কারও জন্য আটকে থাকবে না।’

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে’ রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী তাদের নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ও জানুয়ারির প্রথম দিকে ভোটের আভাস দিয়েছে কমিশন। চলতি সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও তাই জানিয়েছেন।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমরা সব পক্ষকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং সহিংসতা, নিপীড়ন ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে যাব।”

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে চাপ দিতে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা দিলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা ভিসা পাবেন না। এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে সেই নীতি। সরকারি দল ও বিরোধী পক্ষ- সবার ওপরই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে এই নীতি। তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারাও এর আওতায় আসবেন।

ব্রিফিংয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নেরও জবাব দেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং আমরা প্রত্যাশা করি, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সব মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে সরকার।”