সকালে ছোট ভাইসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয় যাবেন ফিরোজায়; রাতে ‘সালাম জানাতে’ যাবেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
Published : 10 Apr 2024, 10:05 PM
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় আরো একটি ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঈদের সকালে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয় ফিরোজায় যাবেন। তাদের সঙ্গেই সময় কাটবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার।
রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা ঈদের ‘সালাম জানাতে’ যাবেন তাদের নেত্রীর বাসায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “ম্যাডাম অসুস্থ, বাসাতেই মেডিকেলে বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে আছেন তিনি।”
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমান দেড় যুগের বেশি সময় ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, “সেখান থেকে তারা ভিডিও কলের মাধ্যমে ঈদের দিন ম্যাডামের সঙ্গে কথা বললেন। উনার এবারকার ঈদ এরকমই যাবে।”
আগের কয়েকটি ঈদে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। ঈদের দিনটা তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গেই কাটিয়েছিলেন। এবার তাদের কেউ আসেননি।
খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশীদ জাহান হকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপান প্রবাসী তিন ছেলে এবং আরেক বোনের ছেলেমেয়েরা ঢাকায় এসেছিলেন রোজার মধ্যেই। সে সময় তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
এখন ঢাকায় আছেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দারসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয়। ঈদের দিন তারা ফিরোজায় যাবেন, দুপুরে তাদের বাসা থেকে রান্না করে নেওয়া খাবার খাবেন খালেদা জিয়া।
জাহিদ হোসেন বলেন, “ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ম্যাডামকে ঈদের সালাম জানাতে আসবেন।”
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পরের দুটি ঈদ তার কারাগারে কাটে। এর পরের দুটি ঈদ কাটে কারা হেফাজতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি মেলে বিএনপি নেত্রীর। তারপর থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাড়িতেই আছেন। অসুস্থতার জন্য মাঝেমধ্যে হাসপাতালেও যেতে হচ্ছে।
৭৯ বয়েসী এই রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, ফুসফুস জটিলতা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ গভীর রাতে অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন সিসিইউতে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন ২ এপ্রিল।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন আর নিয়মিত তাদের নেত্রীর দেখা পান না। কেবল ঈদের বা বিশেষ উপলক্ষে জ্যেষ্ঠ নেতারা তার সাক্ষাৎ পান।