২০১৮ ও ২০১৩ সালের হলফনামায় কামাল মজুমদারের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ একই দেখানো হয়েছে।
Published : 10 Dec 2023, 11:28 PM
পাঁচ বছরের ব্যবধানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের আয় সামান্য কমে গেলেও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
আর এই সময়ে বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া বাবদ অগ্রিম গ্রহণ করা প্রায় কোটি টাকার দেনাও মিটিয়েছেন তিনি।
ঢাকা-১৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কামাল আহমেদ মজুমদার।
২০০৮ ও ২০১৪ সালেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করে এমপি হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি মোট ১ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ১৩১ টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন। এবার সেই পারমাণ কমে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৮ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে তার আয় কমেছে ৮ লাখ টাকার বেশি।
কামাল আহমেদ মজুমদার তার পেশার ঘরে লিখেছেন: ব্যবসা, কৃষি, মৎস্য ও খামার। এবারের হলফামা বলছে, তার মোট আয়ের প্রায় অর্ধেক আসে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে, যার পরিমাণ ৫১ লখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া কৃষি থেকে ৭৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৯ টাকা তিনি আয় করেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বছরে বেতন পান ২৫ লাখ ২৮ হাজার ১৯৬ টাকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য বলছে, শিল্প প্রতিমন্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১০ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ২৭ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৮ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭১ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৬ টাকার।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ টাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে জমা করা অর্থ, শেয়ারবাজার, সঞ্চয়পত্র, যানবাহন, গহনা, ইলেকট্রনিক পণ্য, আসবাবপত্র, পিস্তল, শর্টগান ও মোবাইল সেটের হিসাব ধরা হয়েছে।
পাঁচ বছরে কামাল মজুমদারের নগদ অর্থ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তার কাছে নগদ ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ২১১ টাকা আছে। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাংকে তার নামে জমা ছিল ৫১ লাখ ৮ হাজার ৭৩২ টাক। এবার তা কমে হয়েছে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫১ টাকা।
তবে বন্ড, সঞ্চয়পত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ টাকা।
২০১৮ ও ২০১৩ সালের হলফনামায় কামাল মজুমদারের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ একই দেখানো হয়েছে। ৬ হাজার ১৬১ শতাংশ কৃষি জমি এবং দুটি বাড়ি আছে তার, যার দাম ২ কোটি ৯৫ লাখ ৯ হাজার ১৭৮ টাকা।
২০১৮ সালে ৯৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৬ টাকা দেনা ছিল আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের। এবার কোনো দেনা তার নেই।