“গতকালে নৃশংস হামলা চালিয়ে নিষ্ঠুরভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। এগুলো ছিল তারক রহমানের ‘টেক ব্যাক’,” বলেন ওবায়দুল কাদের।
Published : 29 Oct 2023, 06:54 PM
সংঘাত, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে কেন্দ্র সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তাদের তথাকথিত সমাবেশের নামে জনমনে যে আতঙ্ক ছিল, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তা আজ সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলে এ ধরণের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
“গতকালে নৃশংস হামলা চালিয়ে নিষ্ঠুরভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। এগুলো ছিল তারক রহমানের ‘টেক ব্যাক’।”
তিনি বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জকরার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। গণমাধ্যমকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানোর মধ্য দিয়ে সমগ্র রাষ্ট্রকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
“আমরা বারবারই বলেছি, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে, আসলে তারা তাদের রাজনীতির যে সন্ত্রাসী ধারা, সেই ধারা বাস্তবায়নের জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের ভয়ঙ্কর রাজনীতির পুরনো চেহারায় ফিরে আসতে সময় নিচ্ছিল, সময়মত তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মানে তাকে অবজ্ঞা ও অপমান করা। বিএনপি সন্ত্রাসীদের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করার মত নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগীদের উপর হামলা গাজায় ইসরায়েলিদের হামলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়।
“আন্দোলনের নামে তারা সবই করেছে, সব অপকর্মের প্রদর্শন তারা করেছে। ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে, গতকালের ঘটনা দেখেশুনে সত্যটা তারা লিখতে গিয়ে তারাও রোষানলে পড়েছে। একজন পুলিশকে হত্যা করে লাশের উপর আবারও হামলা করেছে।”
পরে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী থাকবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “আমরা গায়ে পড়ে কারও সঙ্গে লাগতে যাব না, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এখন তারা আমাদের উপর হামলা করলে উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব। সবাই সতর্ক অবস্থানে থাকব।”
এ পরিস্থিতিতে সরকার বিরোধীদলের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “তারা পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে, আর তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই। আমরা আগবাড়িয়ে সংলাপের দিকে কোনো কথা বলব না।”
আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাহজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।