বাড়িওয়ালা বলছেন, ভাড়া বাকি, তাছাড়া দলটির বিবাদে অন্য ভাড়াটিয়ারাও উদ্বিগ্ন।
Published : 08 Jul 2023, 04:00 PM
দুই পক্ষের বিবাদের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়ার নোটিস দিলেন ওই ভবনের মালিক।
পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়। তা বর্তমানে সদস্য সচিব নুরুল হক নুরে অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার অনুসারীরা সেদিকে ভিড়ছেন না।
নিবন্ধনের আবেদন যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশন যখন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই কার্যালয় ছাড়ার নোটিস পেল দলটি।
ইসি কর্মকর্তাদের আগামী সোমবার সেখানে যাওয়ার কথা, আর তার আগের দিনই অফিস খালি করে দিতে বলেছেন ভবন মালিক।
শনিবার নুর পক্ষের দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান জানান, শুক্রবার দুই দিনের নোটিসে অফিস ছাড়ার চিঠিটি পেয়েছেন তারা। এ নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
তিনি বলেন, “গত বছরের ১ মার্চ তিন বছরের চুক্তিতে কার্যালয় ভাড়া নেওয়া হয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিপত্রে কার্যালয় ছাড়তে ৬ মাসের নোটিসের কথা উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং তারা নোটিস দিলেই কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া হবে, বিষয়টা এমন না।”
যে ফ্ল্যাটে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়, তার মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মিয়া মশিউজ্জামান দলটির যুগ্ম আহ্বায়কের পদে রয়েছেন।
তিনি বলেন, অফিসের ১২ মাসের বেশি ভাড়া বাকি রয়েছে। গত কিছুদিন ধরে দলের পাল্টাপাল্টি গ্রুপের অবস্থানের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনের অন্যরাও উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।
“আমার কাছে অফিসটি ভাড়া নিয়েছেন নুরুল হক নুর। এখন পর্যন্ত কোনো ভাড়া দেয়নি। এখন নতুন করে শঙ্কা হচ্ছে, ভবনের অন্যদের নিরাপদ রাখতে হবে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ২ দিনের মধ্যে (৯ জুলাই) অফিস ছাড়তে নোটিস দিয়েছি।”
দলটির সদস্য সচিব অফিসটি ভাড়া নেওয়ায় এ নিয়ে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি বলে জানান মশিউজ্জামান।
আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার পক্ষের দপ্তর সমন্বয়ক শাহাবুদ্দীন শুভ এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা না পেলে দলটির নিবন্ধনেও প্রভাব পড়বে।
১০ জুলাই দলটির নিবন্ধন তথ্য পুনঃযাচাই সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের একটি কমিটি গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “নিবন্ধন যাচাই বাছাইয়ে থাকা এখন ১২টি দলের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পুনঃযাচাই বাকি রয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা যেসখানে গিয়ে অফিস, কমিটির কার্যকারিতা না পেলে তো একটা প্রভাব পড়বে।”
নিবন্ধন না পেলে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে পারবে না গণঅধিকার পরিষদ।
নিবন্ধন: গণঅধিকার পরিষদের অফিসে যাচ্ছে ইসির তথ্য পুনঃযাচাই কমিটি
গণঅধিকার পরিষদে আমিই আহ্বায়ক, নিবন্ধন আমার নামেই হবে: রেজা কিবরিয়া