“একটি কমন দাবি নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন কনটিনিউ করতে চাই। সেটাকে পারলে আরও সম্প্রসারিত করব,” নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
Published : 09 Jan 2024, 05:04 PM
জনগণের ‘ভোট বর্জনের’ পরিপ্রেক্ষিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলনের পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “এই ফোরটোয়েন্টি নির্বাচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি, জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং জনগণ বাংলাদেশে যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করছে তার ন্যায্যতার যে ভিত্তি ৭ তারিখে তৈরি হয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।
“আমরা আজকে বৈঠক করব এবং আমরা বিকালের মধ্যেই আশা করি আমাদের পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারব।”
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা আন্দোলনে আছি। ২৮ অক্টোবর সরকারের সেই বর্বর আক্রমণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। আমরা লাগাতারভাবে এই আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
“একটি কমন দাবি নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন কনটিনিউ করতে চাই। সেটাকে পারলে আরও সম্প্রসারিত করব। আমরা মনে করছি এখন পর্যন্ত আমরা যে ধারায় আন্দোলন করছি তাতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।”
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, “…ভারত এমনকি রাশিয়া, চীন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, বাংলাদেশে জিও পলিটেক্যাল ইন্টারেস্ট বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তাদের যে সমর্থন, সেই বিবেচনায় তাদের এই প্রতিক্রিয়া যুক্ত হয়েছে।
“আমরা ভেবেছিলাম, ভারত ১৪ বা ১৮ সালের মতো একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হবে না। এদেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা, তাদের অধিকার এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন তার পক্ষে ভারতসহ আমাদের যে আন্তর্জাতিক শরিক তারা অবস্থান গ্রহণ করবে। দুঃখজনক হল সেই অবস্থান তারা গ্রহণ করতে পারেনি।”
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসপির মো. সিরাজ মিয়া. ভাসানী অনুসারি পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নি শিখা জামালী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন হাসিব উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।