“আমাদের সংলাপ-টংলাপে আপত্তি নাই, কিন্তু কার সঙ্গে করব সেটা নিয়ে আমাদের নিশ্চয়ই প্রশ্ন আছে।”
Published : 14 Nov 2023, 06:40 PM
নির্বাচন ঘিরে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠিকে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের বন্ধু দেশ যদি আমাদের কোনো সাজেশন দেয়, উই টেক ইট সিরিয়াসলি। আমরা সেটা পর্যালোচনা করি। যদি মনে হয় যে এটা দেশের মঙ্গলের জন্য উই এক্সেপ্ট ইট।”
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
এমন আহ্বান জানিয়ে দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
বিএনপি, সমমনা জোট ও দল এবং জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। মাঝে বিরতি দিয়ে টানা অবরোধ কমর্সূচি পালন করছে দলগুলো। অন্যদিকে সরকারের অবস্থান হল- উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হওয়া ওই ব্যবস্থা ফেরানোর সুযোগ নেই।
দুই পক্ষের এমন অবস্থানে দেশ আবার এক দশক আগের মত টানা অবরোধের বৃত্তে ঢুকে পড়েছে; আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগে জনমনে বাড়ছে শঙ্কা।
এমন প্রেক্ষাপটে ডনাল্ড লু এর চিঠি সোমবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কার্যালয়ে গিয়ে তার হাতে পৌঁছে দেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
একই দিন বিকালে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের মীমাংসা বা সমঝোতার চেষ্টায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস দূতিয়ালি করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
সোমবার বিরোধীদের অবরোধের মধ্যে দেশটির দূতাবাস থেকে বিবৃতিতে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।
দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেন, “আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস।”
সমঝোতার চেষ্টায় সাদা পতাকা হাতে দূতিয়ালিতে যুক্তরাষ্ট্র
দোরগোড়ায় তফসিল, কেমন ভোট চায় ইসি
এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বর্তমান সরকারকে ‘খুব বাস্তববাদী’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমাদের সংলাপ-টংলাপে আপত্তি নাই, কিন্তু কার সঙ্গে করব সেটা নিয়ে আমাদের নিশ্চয়ই প্রশ্ন আছে।”
সংলাপের আহ্বানকে পর্যালোচনার করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই রকম সাজেশন আসে বহু রকমের, আসুক।
“আমরা দেখি, এদেশে কি অ্যাপ্লিকেবল করা যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে। থিওরি এক ধরনের আর বাস্তবতায় অন্য রকম হয়, সেটা বিবেচনা করতে হবে।”