শপথ নেওয়া স্বতন্ত্র এমপিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। তাদের অধিকাংশই শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি আর মুজিব কোট পরে।
Published : 10 Jan 2024, 11:29 AM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরা এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় সংসদ ভবনের নিচতলার শপথকক্ষে তাদের শপথ পড়ান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এরপর সবাই শপথপত্রে নিজেদের আসনের নাম লিখে সই করেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিব এ কে এম আবদুস সালাম।
শপথ নেওয়া স্বতন্ত্র এমপিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। তাদের অধিকাংশই শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাজা পাঞ্জাবি আর মুজিব কোট পরে।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে সংসদের ভিআইপি ক্যাফেটারিয়ায় নতুন এমপিদের জন্য ছিল চা-চক্রের আয়োজন।
স্বতন্ত্র সদস্যদের আগে বেলা ১০টায় শুরু হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শুরুতেই একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী দ্বাদশ সংসদের এমপি হিসেবে নিজের শপথ নেন। পরে তিনি সংখ্যগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ এবং শরিক দলের এমপিদের শপথ পড়ান।
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে ময়মনসিংহের একটি আসন স্থগিত রেখে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
পরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা-৪ আসনের ফল হাই কোর্ট স্থগিত করলেও সেই আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আটকে যায়।
এবারের নির্বাচনে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মোট ২২৪ জন। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।
গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।
দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ে ছয়গুণ বেশি আসনে স্বতন্ত্ররা জয় পাওয়ায় দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে কারা বসবে, সেই আলোচনাও হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা জোট করে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন করলে তাতে বাংলাদেশের আইনে কোনো বাধা নেই। আর সেরকম হলে গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি সেই তকমা হারাতেও পারে।