একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা মঙ্গলবার হবে।
রোববার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের এ সংসদীয় সভা বসতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে আগ্রহী প্রার্থীদের।
১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাতে নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ওই আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবে ইসি।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সবশেষ ষষ্ঠ সভা হয় ১২ জানুয়ারি। ওই সভায় প্রবীণ রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “একাদশ সংসদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সপ্তম সভা ৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
“আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।”
স্বাধীনতার পর থেকে ২১ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে রয়েছেন। সেই হিসাবে নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন এই পদে অষ্টাদশ ব্যক্তি।
সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একবারই সংসদের কক্ষে ভোট করতে হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন।