তরুণরাই দেশকে এগিয়ে নেবে: জয়

“আমরা সব থেকে ধনী দেশের চাইতেও ভালোভাবে কোভিড মোকাবিলা করেছি,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2022, 02:44 PM
Updated : 12 Nov 2022, 02:44 PM

বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, “বিশ্বে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশের তরুণরা সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

শনিবার সাভারের শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে সিআরআইয়ের তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার উদ্যোগে দেশের তরুণ সংগঠকদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এবারের পুরস্কারের জন্য প্রায় ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এগুলোর মধ্য থেকে ২৮টি চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা হয়। ৫টি ক্যাটগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয় ১০ প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া দুইজনকে দেওয়া হয় আজীবন সন্মাননা।

Also Read: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১০ সংগঠন

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআইয়ের চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমার এই বিশ্বাসটাই আছে যে, বাংলার মানুষ, আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। আপনার জানেন যে, এখন সারাবিশ্বেই অনেক সংকট চলছে, যুদ্ধ চলছে, সমস্যা চলছে।

“এই একটি কোভিড মোকাবিলা করলাম আমরা দুবছর আগে। কোভিড যেতে না যেতে এখন যুদ্ধ, সন্ত্রাস, সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে।”

এ পরিস্থিতি দেশ কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেখেন, সমস্যার কোনোদিন শেষ থাকে না। এই ১৪ বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, এর মধ্যে আমরা কী কী সমস্যা দেখেছি? প্রথমেই ছিল বিদ্যুতের সমস্যা; এই যে লোড শেডিং হয় এটা আমরা কীভাবে সমাধান করব।

“তারপর অর্থনীতির; এত মানুষকে কীভাবে খাওয়ানো হবে। এই অর্থনীতিকে কীভাবে আগানো যায়, এগুলো আমরা সমাধান করে দেখিয়েছি।”

একের পর এক সংকট আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয় বলেন, “তারপর আসলো কোভিড। এটা নিয়ে সবাই ভয়ে ছিল। সবাই আতঙ্কে। সারাবিশ্বেই আতঙ্ক। তবে কী দেখা গেল?

“আমরা বাংলাদেশে নিজেদের মত করে, নিজেদের পরিকল্পনায়, এই কেভিডকে কিন্তু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় এমনকি সব থেকে ধনী দেশের চাইতেও ভালভাবে মোকাবিলা করেছি।”

তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, “আমার নিজেরই আনন্দ লাগে যে, যখন দেখি আমাদেরই দেশে আপনারা রোবোটিক হাব বানাচ্ছেন, এটা অসাধারণ। আমাদের দেশ থেকে আপনারা ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য দাবি করতে ইউএন-এতে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন, এটা অসাধারণ।

“আপনারা অসাধারণ। আমাদর দেশটি একটি অসাধারণ দেশ। নিজেরা লড়াই করে, রক্ত দিয়ে এই দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি। এই ১৬ কোটি মানুষকে আমরা খাওয়াতে সক্ষম হয়েছি। এই ১৬ কোটি মানুষের দেশকে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে দরিদ্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছি।”

তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ মন্তব্য করে জয় বলেন, “আর এই তরুণ-তরুণীরা, এই ইয়াং বাংলার পুরস্কারজয়ীরা- আপনারাই হচ্ছেন ভবিষ্যৎ। আপনারা তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আপনারাই বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমার আশা আছে, বিশ্বাস আছে, আপনারাই বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ থেকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবেন। আর এটা আমাদের জীবনের মধ্যেই হবে।“

তরুণরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আজকে একটি শব্দেই অনুভূতি জানাতে চাই যে, ’অসাধারণ’। আজকে যারা পুরস্কৃত হয়েছে শুধু তারাই নন, যারা ফাইনালিস্ট এবং এই যে ৬০০ জন অংশ নিয়েছেন আপনারা সকলেই আজকে বিজয়ী।“

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই ইয়াং বাংলার কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সিআরআইয়ের ট্রাস্ট্রি নসরুল হামিদ বিপু।

তিনি বলেন, “দেখতে দেখতে ছয় বছর কেটে গেল। আজকে ইয়াং বাংলার সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। দূর দূরান্তে থেকে তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় অনেক কিছু করেছেন। জুরি বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”