সব জেলার বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি দিয়ে অবিরাম লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা সদরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।”
বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, “সারাদেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় এখন দুই-এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসে। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে ২ ঘণ্টার বেশী বিদ্যুত থাকে না। দিনের বেলাতেও পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে।”
রাজধানীতেও দিনে-রাতে ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল-অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভতুর্কির নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পকেট থেকে কেটে নেয়া হয়েছে, কিন্তু এটি যে ছিল এক ধরণের জালিয়াতি, সেটিই এখন বিকট লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ-তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ জনগণ দেখতে পাচ্ছে।
“আওয়ামী সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। সেজন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। এরা জনগণের সবচেয়ে বড় দুশমন।”
গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ রোড মার্চে চলাকালে বগুড়ার মোকামতলায় হামলার নিন্দা জানান ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, মুনির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।