বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবার টাকা পাচার হবে: কাদের

দলটির চলমান কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে।"

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2023, 06:04 PM
Updated : 18 March 2023, 06:04 PM

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘ফের অর্থপাচারে’ জড়িয়ে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওই টাকার গাড়ি আবার আসবে যে এখন লন্ডনে আছে। ক্ষমতায় গেলে সেই টাকার গাড়ি তারেক বিদেশে টাকা পাচার করবে।"

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, "সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এদেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতায় পরিণত হবে। দেশে আবারও জঙ্গিবাদের উত্থান হবে, শায়েখ আব্দুর রহমানদের হাতে যাবে।

“মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানাবে, আর রাজাকারদের বানাবে মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বাধীনতা পুরস্কার দেবে। এদের হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আমরা দিতে পারি না।”

নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, "প্রমাণ করুন, কার পায়ের নিচে মাটি আছে। মুখের বুলি দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা যাবে না, এজন্য নির্বাচনে এসে জনগণের রায় নিতে হবে। নির্বাচনে জিতি আর হারি, আমরা সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে আছি।"

বিএনপি মহাসচিব কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন দাবি করে কাদের বলেন, "মির্জা ফখরুল নামে একটি লোক, এই লোকটিকে দেখলে মনে হয় ভদ্রলোক, কিন্তু অন্তরে জ্বালা- বিষ আর বিষ। এত বিষ একজন মানুষের হতে পারে, এত মিথ্যাচার করতে পারে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় মিথ্যাচারের নাম মির্জা ফখরুল। কথায় কথায় শুধু মিথ্যা বলে। কোথা থেকে পায়?"

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, "ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন, বেপরোয়া গাড়ি, বেপরোয়া ড্রাইভার কোথায় চলছে? ফখরুল সাহেব কোথায় চলছেন? চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে।

“এই আন্দোলনে মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না। আন্দোলনের গান মরে গেছে। এটা আর চলবে না। এখন বেপরোয়া কথাবার্তা বলে চলতে চলতে খাদে চলে গেল।”

আওয়ামী লীগের সরকারের শাসনামলের অর্জন তুলে ধরতে গিয়ে কাদের বলেন, "আমরা যদি চুরি করতাম, শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হত না, মেট্রো রেল হত না, এলিভেটটেড এক্সপ্রেসওয়ে হত না, এই ঢাকায় একটার পর একটা উড়াল সড়ক হত না, বঙ্গবন্ধু টানেল হত না, একদিনে একশ সেতু, একদিনে একশ সড়ক উদ্বোধন করতে পারতেন না।

"শেখ হাসিনা চুরি থেকে বাংলাদেশকে ন্যায় ও সত্যের পথে এনেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরে তার মতো এতো জনপ্রিয়, সৎ ও পরিশ্রমী নেতা জন্ম নেননি।”

জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, "অপশক্তি উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা (বিএনপি) ৩ মাসের সরকারের নামে ২ বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সংবিধানের বাইরে এক চুল যাওয়ার সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।"

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, "জাতির পিতা আমাদের গৌরব। তিনি ছিলেন বলেই এ দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি।"

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতিবাজদের সবচেয়ে ঘৃণা করতেন। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সারাজীবন জিহাদ করেছেন। যারা ঘুষ খায়, চাঁদাবাজি করে তারাই দুর্নীতিবাজ।"

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।