“টিআইবি সবসময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল; সবসময় বিএনপির পক্ষপাত করে”, বলেন কাদের।
Published : 18 Jan 2024, 02:26 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দেওয়া ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) ‘বিএনপির দালাল’ আখ্যায়িত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, “টিআইবি হচ্ছে বিএনপির দালাল। তাদের প্রত্যকটা কথা একপেশে, তারা ওকালতি করে। তারা সরকার বিরোধী। যে ভাষা বিএনপি কথা বলে, সেই ভাষায় তারা কথা বলে।
“ইতিহাস থেকে উপলব্ধি করেছি, টিআইবি সবসময় আওয়ামী লীগবিরোধী ছিল। সবসময় বিএনপির পক্ষপাত করে। তাদের গবেষণা তাদের বিষয়। তাদের গবেষণা নিরপেক্ষতা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। টিআইবি বলেছিল পদ্মাসেতু অসম্ভব। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হয়নি মন্তব্য করে বুধবার টিআইবির এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ এই নির্বাচনের সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত; গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সাথে সাংঘর্ষিক।”
এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংস্থাটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমাদের দ্বন্দ্ব কোন্দল আছে, থাকবেই। সব দলেই আছে। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব থাকবেই। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে যত সমস্যায় থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই এক।
“আওয়ামী লীগের দুয়েকজন নেতার বক্তব্য শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে এসেছে। দু-চারজন তাদের বক্তব্য দিয়েছে, সেটা তাদের বুঝে দিতে হবে।”
জাতীয় নির্বাচনের পরপর যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতাদের ভাষ্য, তৃণমূলের রাজনীতিতে বিভাজন ঠেকাতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে তারা ভাবছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনের পর ৩০ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের প্রথম অধিবেশন বসছে। ফলে সংসদে বিরোধী দল কারা হচ্ছেন- জানতে চাওয়া হয় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, “বিরোধী দল হবে কারা, সংসদ চালু হলেই বোঝা যাবে। সংসদ বসলেই দেখতে পাবেন কারা সংসদের বিরোধী দল।”
দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নতুন সরকার ‘বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে’ দাবি করে কাদের বলেন, “এজন্য শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটা মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্য সব বিষয়ে বাস্তবতার নিরিক্ষে মন্ত্রণালয়গুলো কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা শুরু করেছে।”
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান কবিতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-
‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতা’র এই নির্বাচন ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত: টিআইবি