পাকিস্তানের মোহ কাটেনি বিএনপির: ওবায়দুল কাদের

“আওয়ামী লীগ কখনো পলায়নপর রাজনীতি করেনি, করবেও না”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2023, 05:41 PM
Updated : 9 March 2023, 05:41 PM

বিএনপি এখনও পাকিস্তানে মোহাবিষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যাদের এখনও পাকিস্তানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলেই মির্জা ফখরুল ইসলামরা আজ অপরাজনীতির সুযোগ পেয়েছে। বাক-স্বাধীনতার নামে লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করার অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে।

“জাতির পিতার নেতৃত্বে যদি দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে তাদেরকে এখনো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গোলামি করতে হত। স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও তারা পরাজিত পাকিস্তানের প্রতি এক ধরনের সংবেদনশীলতা অনুভব করে; পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভাবাদর্শগত মোহ এখনও কাটেনি।

“আমরা স্পষ্টতই বলতে চাই, যাদের এখনও পাকিস্তানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।”

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের সংগঠন। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার-নির্যাতন স্বীকার করে ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা বাধা-বঘ্ন পেরিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠনের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

“আওয়ামী লীগ কখনো পলায়নপর রাজনীতি করেনি, করবেও না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একুশে আগস্টের খুনি দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক বিদেশে পলাতক। যারা দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে রাজনীতি করে, তাদের মুখে অন্যদের নিয়ে পলায়নপর রাজনীতির আষাঢ়ে গল্প তামাশা ছাড়া কিছু নয়।”

কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সবসময় জন-আকাঙ্ক্ষা ও জনমত ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জনকল্যাণকে সামনে রেখেই প্রণীত হয় বর্তমান সরকারের সকল কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি-জামাতের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ও চরম অনিশ্চয়তার বাংলাদেশ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে অভাবনীয় অগগ্রতি সাধিত হয়েছে।

“সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ বা তত্ত্বাবধায়কের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক দাবির হুঙ্কার দিয়ে কোনো লাভ নেই। কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সরকার গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী। দেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণের ভোটেই সরকার গঠন হবে।”