“বিএনপির মানববন্ধনের অনুমতির বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ইসির সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।“
Published : 06 Dec 2023, 05:01 PM
টানা হরতাল ও অবরোধের মধ্যে আগামী ১০ ডিসেম্বর রোববার বিএনপিকে মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ইসির (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল আওয়ামী লীগও, কিন্তু ক্ষমতাসীন দলটিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে টানা হরতাল ও অবরোধ দিয়ে আসা বিএনপি এখন পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দুটি দিন এবং সপ্তাহের মাঝে একটি দিন বিরতি রাখছে।
এই ধারাবাহিকতার মধ্যে গত সোমবার নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার যে অবরোধ ডাকা হয়, সেখানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পরদিনের কর্মসূচিও দিয়ে দেওয়া হয়।
বরাবরের মতো ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, সেদিন তাদের দলের নিখোঁজ কর্মী সমর্থকদের স্বজনরা জেলায় জেলায় মানববন্ধন করবে।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সারা বিশ্বে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়। গত কয়েক বছর ধরেই সরকারের বিরুদ্ধে ‘গুমের’ অভিযোগ এনে এই দিনটিতে নানা কর্মসূচি রাখে।
সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা অবস্থায় নেতাকর্মীরা যখন আত্মগোপনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা এবার কী করবে তা নিয়ে আছে নানা আলোচনা। এদিন ঢাকায় দলটি সমাবেশ করতে পারে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছিল। আর আওয়ামী লীগও সেদিন সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বসে।
ক্ষমতাসীন দল জমায়েত হতে চেয়েছিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। মানবাধিকার দিবসে তাদের সমাবেশের দাবি হিসেবে তুলে আনা হয়, “বিএনপি–জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ দ্রুত বিচার”। জানানো হয়, ‘অগ্নিসন্ত্রাসে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরাও তাতে অংশ নেবেন’।
তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতির প্রয়োজন আছে। তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচারের কোনো সুযোগ নেই। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এ নিয়েও আছে প্রশ্ন।
তবে আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ডেকেছে দলটি।
গত বছরের শেষ থেকে রাজধানীতে একই দিনে আওয়াম লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি ডেকে আসছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, “গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার জন্য সরকারের সব সংস্থা কাজ করছে।
“সে অনুযায়ী ধাপে ধাপে আমাদের কার্যক্রম চলছে। এখন নির্বাহী বিভাগের যে কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কি না আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়।”
নির্বাচন কমিশনও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, “এ অবস্থায় কোথাও কিছু করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণকে আমরা স্বাগত জানাব।“