Published : 22 Jun 2024, 09:51 PM
দুর্যোগের বিরুদ্ধে, ঝড়ের বিরুদ্ধে, অন্ধকারের বিরুদ্ধে অকুতোভয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ- বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় বছরে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির। পরে সব ধর্মের মানুষদের মুখপাত্র হতে দলের নাম পাল্টে করা হয় আওয়ামী লীগ।
পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দলটি পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে
ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইতিহাসের উন্মুক্ত পাঠশালা থেকে শিক্ষা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা মৃতের ভাগাড়ে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই। জাতির প্রতিটি দুর্যোগ ও সংকটে হাত বাড়িয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চতুর্থ বছরে আওয়ামী লীগের প্রাণ পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সংকটকাল এগিয়ে ২১ বছর পর জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ফেরে দলটি। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহ শেষে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে টানা ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইতিহাসের চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, সংকটের পথ পেরিয়ে প্রবল প্রাণশক্তি ও জীবন ঘনিষ্ঠ কর্মসূচি দিয়ে জনতার মন কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা।”
শেখ হাসিনা ‘নিছক কোনো প্রধানমন্ত্রী’ নন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি পরবর্তী ইলেকশন নিয়ে শুধু ভাবেন না, তার ভাবনায় পরবর্তী জেনারেশন হচ্ছে বড় কথা। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মডেল।
“শেখ হাসিনা সংগ্রামী নেতা থেকে আজ কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক। সমগ্র বিশ্বে তিনি আজ মানবতার মাতা, উন্নয়নের নেতা হিসেবে পরিচিত। তার টার্গেট নেক্সট জেনারেশন। তাই তো তিনি গ্রহণ করেছেন শত বছরের ডেলটা প্লান “
শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের অভিযাত্রায় পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথাও তুলে ধরেন কাদের।
তিনি বলেন, “মানুষের স্বপ্নকে আকাশের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন মহাকাশে। সুনীল সমুদ্র বিজয় থেকে শুরু করে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা সমাধান হয়েছে তারই হাত ধরে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস সবই শেখ হাসিনার অসামান্য অবদান।”
আওয়ামী লীগকে জনগণের স্বার্থ রক্ষার ‘পাহারাদার’ দাবি করে কাদের বলেন, “ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতিতে কারো বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেনি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে, কিন্তু সাহস হারায়নি।
“আওয়ামী লীগ মানে বাঙালি জাতিসত্তার আপোষহীন স্রোত ধারা। আওয়ামী লীগ মানে সংগ্রামী মানুষের প্রত্যয় দীপ্ত মুক্তির স্লোগান। আওয়ামী লীগ মানেই বদ্ধ দুয়ারে আঘাত আনা দুর্বার সাহস। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সুদক্ষ বিচক্ষণ নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ অনেক বেশি সংঘটিত ও শক্তিশালী।”