Published : 31 Jul 2022, 12:01 PM
মহামারীর মধ্যে ২০২১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে; আগের বছরের চেয়ে ব্যয় এক তৃতীয়াংশ কমায় জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ কোটি টাকার বেশি।
আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে দলের বার্ষিক হিসাব প্রতিবেদন জমা দেন।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে।
আয়ের চেয়ে কোটি টাকা ব্যয় বেশি বিএনপির
মহামারীর বছরে আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, বেড়েছে ব্যয়
নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬৬ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১০৫ শতাংশ বেশি। মহামারীর প্রথম বছর ২০২০ সালে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা আয় দেখিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
দলের কোষাধ্যক্ষ জানান, মনোনয়ন ফরম বিক্রি, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম বিক্রি এবং সম্পত্তি থেকে আয় হয় আওয়ামী লীগের। মনোনয়ন ফরম বিক্রি, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম বিক্রি থেকে আয় বাড়ায় এবার মোট আয় বেড়েছে।
২০২১ সালে ক্ষমতাসীন এ দলের তহবিল থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কম। ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল দলটি।
কোষাধ্যক্ষ জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠনের পরিচালন ব্যয়, অফিস ভাড়া, প্রচার ও প্রকাশনা বাবদ এ অর্থ ব্যয় হয়েছে।
আর ব্যয় কমার ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে মহামারীর প্রথম বছর নেতাকর্মীদের যে পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিতে হয়েছিল, ২০২১ সালে দেওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল তার চেয়ে কম।
২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে আওয়ামী লীগের তহবিলে স্থিতি ছিল ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা। আগের বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে স্থিতি দেখানো হয়েছিল ৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে আওয়ামী লীগের সহবিলে জমা বেড়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।
পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।