মহামারীর বছরে আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, বেড়েছে ব্যয়

করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রথম বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, তুলনামুলকভাবে বেড়েছে ব্যয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2021, 09:35 AM
Updated : 29 August 2021, 09:35 AM

২০২০ সাল শেষে সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের তহবিলে এখন মোট স্থিতি রয়েছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোববার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ২০২০ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আর্থিক লেনদেনের হিসাব বিবরণী জমা দেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এই নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আবদুস সোবহান গোলাপ পরে সাংবাদিকদের জানান,  ২০২০ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৫১ শতাংশ কম।

২০১৯ সালে আওয়ামী লীগৈর আয় ছিল ২১ কোটি টাকা। আর তার আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালে ২৪ কোটি টাকা আয় দেখিয়েছিল দলটি। 

বিভিন্ন পর্যায়ে সদস্যদের দেওয়া চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও  ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান থেকে আওয়ামী লীগের আয় হয়।

আয় কমে যাওয়া কারণ হিসেবে প্রচার সম্পদক বলেন, “২০১৯ সালে আয়ের অন্যতম খাত ছিল আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল বাবদ পাওয়া অর্থ। ২০২০ সালে মনোনয়ন ফরম বিক্রি আগের তুলনায় কম হয়েছে।”

গেল বছর আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে মোট ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।

ব্যয়ের খাতগুলো হচ্ছে- অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরণ।

করোনাভাইরাস মহামারীতে ত্রাণ বিতরণ, দলীয় প্রার্থীদের অনুদান, পত্রিকা ও প্রকাশনার খরচ বাড়ায় আগের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে বলে জানান গোলাপ।

২০১৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তহবিলে স্থিতি ছিল ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। তার সঙ্গে যুক্ত হল ২০২০ সালের উদ্বৃত্ত ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬০১ টাকা। তাতে সব মিলিয়ে ক্ষমতাসীন দলের হিসাবের খাতায় মোট স্থিতি থাকছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। তবে মহামারীর কারণে এবার সে সময় অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসি।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি।