কাদের বলেন, “মঈন খান বললেন ভারতকে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর খুলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বর্জন শুরু করলেন। বিএনপি আসলে কী চায়?”
Published : 24 Mar 2024, 01:00 PM
‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ এর আহ্বান নিয়ে বিএনপি নেতারা যে যাই বলুন না কেন, এ বিষয়ে দলটির অবস্থান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে শুনতে চান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “বিএনপির নেতারা একেক জন একেক কথা বলেন, একেক নেতা একেক সুরে কথা বলেন। আমি এখন শুনতে চাইব বিএনপির মহাসচিব তিনি কি বলেন, দলের মুখপাত্র আছে তো। এখন দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল সাহেব কি বলেন?
“হাফিজ সাহেব কি বললেন, রিজভী কি বললেন, মঈন খান কি বললেন, আমির খসরু কি বললেন, তার চেয়েও আমরা এখানে গুরুত্ব দিয়ে জানতে চাইব ফখরুল সাহেব কি বলেন।“
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে কথা বলছিলেন কাদের।
ঠিক কী কারণে বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করার কথা বলতে পারেন, সেই প্রশ্নে কাদের বলেন, “বিএনপির নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। এ সময় নেতাদের কারও সাথে কারও কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান বললেন ভারতকে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর খুলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বর্জন শুরু করলেন। বিএনপি আসলে কী চায়?”
গত সপ্তাহে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মীরি শাল আগুন ছুড়ে ফেলেন।
তবে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, এ বিষয়ে দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, স্থায়ী কমিটিতে আলোচনাও হয়নি। রিজভী এই কাজ করবেন, সেটাও জানা ছিল না তাদের।
বাংলাদেশে ভারতের অবস্থান জনআকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে: জয়নুল আবদিন
‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’: দলে আলোচনা ছাড়াই রিজভীর সংহতি?
সরকারের অর্জনকে বিএনপি ‘ধ্বংস করতে চায়’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, “এই কারণেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলছেন তারা। বাংলাদেশ আর ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে এর ভিতরে এই ধরনের কথা বাস্তবসম্মতও না, বাস্তবতাও নাই।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের সামরিক ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তোলার যে কথা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সেটি কীভাবে দেখছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, “আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক ট্রেনিং কাকে দেবে। এ আরেকটা প্রতারণা, এতে সার বলতে আর কিছু নেই। আমি বলব এটা প্রতারণামূলক কথা।”
বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি কতখানি বাস্তবসম্মত– এই প্রশ্নে কাদের বলেন, “কী কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচন? নির্বাচন এই দেশের সংবিধান অনুযায়ী হবে।”