বাংলাদেশে ভারতের অবস্থান জনআকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে: জয়নুল আবদিন

ফারুক বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে।"

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2024, 08:22 AM
Updated : 22 March 2024, 08:22 AM

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভারতের অবস্থান 'জনআকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে' বলেই দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সেটা অগণতান্ত্রিক হয়েছে… জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা যে, ভারত যদি ওই নির্বাচনে সঠিকভাবে সমর্থন দিত জনগণের প্রতি... জনগণের বিপক্ষে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমরা দেখতে পারছি যে, ভারতীয় পণ্য বর্জন চলছে।” 

শুক্রবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফারুক। 

সে সময়ে ‘ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন’ ও ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ প্রচার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফারুক বলেন, "আমাদের দলের মুখপাত্র রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছি। এখনো আজকের জিয়া পরিষদের ৩৭তম জন্মদিনে এই কর্মসূচির প্রতি আমরা সংহতি  প্রকাশ করছি।” 

বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মীরি শাল ছুড়ে ফেলেন। 

দলের আন্দোলন নিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, "মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চলছে। আমরা আমাদের দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করছি… জিয়া পরিষদসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের মতো বিএনপিও সারা বাংলাদেশে শক্তি অর্জন করছে। ইতিমধ্যে আমাদের নেতা-কর্মীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন, আরও বেরিয়ে আসবেন... চলমান যে রাজনৈতিক আন্দোলন ও তার যে কর্মসূচি, সেই কর্মসূচি চলমান আছে, এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।” 

জিয়া পরিষদের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান জয়নুল আবদিন ফারুক। সেখানে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা। 

এ সময় অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ জিয়া পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।