সমাবেশের জন্য বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি আগের ‘শর্তেই’ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়া নিরাপত্তা বলয় সেখানেও থাকবে।
শুক্রবার বিকালে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, আগের শর্তই থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সেখানে (গোলাপবাগ) থাকবে। পোশাকে, সাদা-পোশাকে সেখানে কাজ করবে।
“আমরা যেভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিলাম, সেই নিরাপত্তা এখন গোলাপবাগ মাঠে দিব।”
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোথাও যেন অরাজকতা সৃষ্টি না হয়; কোনো ধরনের ব্যারিকেড ‘না দিতে’ পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
“আমাদের টিম 'অলরেডি' কাজ করছে, আশপাশের এলাকা তদারকি করছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন জানান, বিএনপি একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথা তাদের জানিয়েছেন। দলটির নেতারা বৃহস্পতিবারও পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন।
“আজকেও তারা এসে সমাবেশ করার কাগজটি জমা দিয়েছেন এবং চেয়েছেন গোলাপবাগ মাঠ। কমিশনার স্যার গোলাপবাগ মাঠ দিয়ে দিয়েছেন,” যোগ করেন তিনি।
ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন বলেন, "আমি মনে করি আর কোনো সমস্যা নেই। সব সময় মনে করি। তারা সুন্দর সমাবেশ করবে এবং কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। পর্যাপ্ত পুলিশ চারদিকে ও আশপাশে এলাকায় কাজ করবে।
১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের জন্য রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। এর আগে ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি মিললে বিএনপি ‘অনিরাপত্তার’ কারণে সেখানে যেতে চায়নি।
এ সমাবেশে স্থান নির্ধারণ নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন আর উত্তেজনার মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে সংঘর্ষে আহতদের একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান এবং অনেকে আহত হন।
পরে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সেখানে ‘বোমা’ পাওয়ার কথা দাবি করে। এরপর থেকে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আর টানাপড়েনের মধ্যে নয়া পল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাঙলা কলেজের পরিবর্তে বিএনপি সমাবেশের জন্য সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠ বেছে নেয়।