জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জবানবন্দি বাতিল করে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের বিষয়ে আদেশ জানা যাবে ২৯ জুন।
Published : 25 Jun 2015, 01:49 PM
এ বিষয়ে তিন দিন শুনানি করে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আদেশের এই দিন ঠিক করে দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে এদিন শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী ও মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছর ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়।
বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও জামিনে থাকা খালেদা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় পাঁচ দিন তার অনুপস্থিতিতেই বাদীর সাক্ষ্য শোনে আদালত। সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই খালেদার উপস্থিতিতে শুনানির পর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ২৩ জুলাই মামলার পরবর্তী দিন রাখেন।
এদিকে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে দুদক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা বাতিল ও নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে গত ১৫ জুন হাই কোর্টে ‘ফৌজদারি রিভিশন’ আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয় গত সোমবার।
খালেদার আইনজীবীরা বলছেন, কোনো ফৌজদারি মামলার আইন অনুযায়ী আসামির উপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্য নিতে হয়, তা না হলে অনুমতি নিয়ে আইনজীবীর উপস্থিতিতে সাক্ষ্য নিতে হয়। কিন্তু এ মামলায় তা করা হয়নি।
আইনজীবীরা আদালতে বলেন, পাঁচটি তারিখে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২৫ মে সাক্ষ্য না নেওয়ার আবেদন জানানো হলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।
এই কারণ দেখিয়ে রিভিশন আবেদনে বাদীর সাক্ষ্য বাতিল করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আবার সাক্ষ্য নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছেন তারা।
পাশাপাশি ওই সাক্ষ্য কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে রুল এবং তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আরজিও খালেদার আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন।
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তার বৈধতা ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে তার আবেদনগুলো আপিলেও খারিজ হয়ে যায়।