সমুদ্রজয় না, নাটক: ফখরুল

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় নিয়ে সরকার ‘নাটক’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমাদের যেখানে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার সীমানা হাতছাড়া হয়েছে, সেখানে বিজয় কোথায় হলো?”’

বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সাড়ে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশকে দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছে নেদারল্যান্ডসের পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন (পিসিএ)।

এই রায়ের ফলে সাগরে ৬ হাজার বর্র্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।

ফখরুল বলেন, “সমুদ্রের জলসীমা নিয়ে সরকার ‘নাটক’ শুরু করেছে। ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার সীমানা আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হাতছাড়া হয়ে গেছে। তারপরও সরকার বলছে, তারা বিরাট একটা সমুদ্র বিজয় করেছে।”

বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনহীন ‘অবৈধ’ সরকার বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মুখপাত্র।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তাদের একদলীয় মুখোশ উন্মোচিত হয়। তারা গণতন্ত্রী নয়, একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী।

“দুই দিন আগে ইউএস অ্যাম্বাসেডর মাইলাম তার একটি লেখায় বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে।”

গত পাঁচ বছরে দলীয়করণ, দুর্নীতি, ব্যাংকিং খাত ও পুঁজিবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু প্রকল্পে নাম-ঠিকানাবিহীন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠী দলের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এদেশে বাঙালি ছাড়াও ৪৫টি জাতিগোষ্ঠী বাস করে। বিএনপির আদর্শ হচ্ছে এই ভূ-খণ্ডের সব মানুষ-জাতিগোষ্ঠী যেন এক হয়ে বসবাস করে। সেজন্য আমরা আদি জাতিগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিএনপিতে এই জাতিগোষ্ঠীর বিকশিত হওয়ার সুযোগ আছে।”

‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সহসভাপতি এলবার্ট পি কস্টা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রফিক, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মার্শেল এম চিরান  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।