নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনমত গড়তে রাজধানী থেকে নরসিংদী পথে রওনা হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
Published : 08 Sep 2013, 02:23 PM
এই সফরের মধ্য দিয়ে আট জেলায় বিরোধী দলীয় নেতার জনসভা কর্মসূচি শুরু হলো।
রোববার বেলা পৌনে দুটার দিকে গুলশানের বাসা থেকে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়ার গাড়ীবহর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বহনকারী সাদা পাজেরোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানও রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ী হয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে জড়ো হন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে।
রোববার বিকালে নরসিংদী দোগরিয়ার বালুর (প্রস্তাবিত বাসাইল পৌর শিশু পার্ক) মাঠে ১৮ দলীয় জোটের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বিরোধী দলীয় নেতা।
এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বৃষ্টি উপেক্ষা করে বালুর মাঠে জড়ো হয়েছেন। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়েছে সভার কার্যক্রম। স্থানীয় নেতাকর্মীরা সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন।
প্রায় ২১ বছর পর নরসিংদীতে খালেদা জিয়ার এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা নরসিংদী ও আশপাশের জেলার ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে।
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। মহাসড়কের দু’পাশে লাগানো হয়েছে জিয়াউর রহমান,খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের ছবি সংবলিত রং বেরংয়ের বিলবোর্ড।
জনসভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আশা করছি, এই জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে।”
বালুরমাঠের এ সভায় সভাপতিত্ব করছেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি জানান, জনসভার পুরো কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। দুপুর ২টা থেকে জনসভার কার্যক্রম www.bnplive.com এ দেখা যাবে।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনমত গড়তে আট জেলায় খালেদা জিয়ার জনসভার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে নরসিংদী সফরের মধ্য দিয়ে।
এর অংশ হিসেবে আগামী ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও রাজশাহীতে জনসভা করবেন তিনি। পরের জনসভা দুটি হবে ২২ ও ২৯ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে খুলনা ও বরিশালে এবং সবশেষে ৫ অক্টোবর হবে সিলেটে।
একই রকম জনসভার পরিকল্পনা রয়েছে চট্টগ্রামেও। আর সর্বশেষ জনসভাটি হবে ঢাকায়। তবে দুই জনসভার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও।
জনমত গঠনে এসব জনসভা হচ্ছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এটি বিরোধী দলীয় নেতার প্রাক-নির্বাচনী প্রস্তুতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন জনসভায় দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে ভোট চাইছেন।
সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হতে হবে।