গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি আবার জানিয়েছে বিএনপি।
Published : 04 Jul 2013, 07:23 AM
নবগঠিত এই সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণের দুদিন আগে বৃহস্পতিবার এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্বাচনে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এটাই জাস্টিফাইড হয় যে, এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের স্বার্থে সিইসিকে গাজীপুরে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি।”
নজরুল অভিযোগ করেন, ‘বিশেষ এলাকার’ কর্মকর্তাদের গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনে নিয়োজিত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাব বিস্তার করছেন। কয়েকটি এলাকায় গার্মেন্টকর্মীদের পরিচয়পত্র নিয়ে নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিজয় নিশ্চিত করতে এই অনিয়ম চলছে বলে তার দাবি।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের কর ফাঁকির অভিযোগে ব্যাংক একাউন্ট জব্দের বিষয়ে নজরুল বলেন, ভোটের সময়ে এনবিআরের আচরণ প্রমাণ করছে সরকার সবখানে দলীয়করণ করছে।
বিএনপির বক্তব্য শুনে তা পর্যালোচনা করে সিইসি ‘যতটুকু সম্ভব দেখার’ আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও নজরুলের সঙ্গে ছিলেন।
কিছুদিন আগে এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে দেখা করে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
সংসদেও বিরোধী নেতারা একই দাবি তুললে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসি প্রয়োজন মনে করলে সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে চার সিটি কর্পোরেশনে সেনা মোতায়েন ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় গাজীপুরে তার প্রয়োজন দেখছে না ইসি।