হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেরে উঠছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপি নেতা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
Published : 01 Nov 2021, 05:33 PM
তিনি সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডাম সুস্থ হয়ে উঠছেন।”
খালেদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার বায়োপসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানান ডা. জাহিদ।
ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে কেবিন আছেন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, প্রয়াত ভাই সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার নিয়মিত হাসপাতালে তার পাশে থাকছেন।
গত ২৪ অক্টোবর লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন সিঁথি।
গত ৯ অক্টোবর থেকে টানা কয়েকদিন খালেদা জিয়ার শরীরে তাপমাত্রা উঠানামা করছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর তাকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার দেহে একটি ‘লাম্প’ ধরা পড়ায় গত ২৫ অক্টোবর বায়োপসি করা হয়। রোববার বায়োপসি রিপোর্ট মেডিকেল বোর্ডের হাতে পৌঁছায়।
তাতে যে জটিল কিছু ধরা পড়েনি, তা ডা. জাহিদের কথায় স্পষ্ট।
এভার কেয়ারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
কারামুক্তির বাসায় থাকা অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এজন্য বছরের মাঝামাঝিতে দুই মাস হাসপাতোলে থাকতে হয়েছিল তাকে।