স্থানীয় সরকারসহ দেশের সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
Published : 13 Feb 2021, 04:38 PM
শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়। পরে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রস্তাবনা উত্থাপন করলে তা গ্রহণ করা হয়।
“নির্বাচন কমিশন তা পরিপূর্ণ জ্ঞাত থাকার পরও সে সম্পর্কে কোন ব্যবস্থা নেয় না। জিয়া-এরশাদ আমলের হুন্ডা-গুন্ডা ভোটারহীন নির্বাচনের ঐতিহ্যও এখন ম্লান হয়ে গেছে। আগামী ইউপি নির্বাচনেও যদি এর পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে দেশের মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিপূর্ণ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। এখন যেমন রাউজান ফেনীসহ কয়েকটি অঞ্চলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অর্থই ‘নির্বাচন’ হয়ে যাওয়া, তারই বিস্তৃতি ঘটবে সারা দেশে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়, ভোট প্রদানে ইভিএম ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্যদিয়ে ভোট বাক্স পূর্বাহ্নে পূর্ণ করে রাখা, জোর করে ব্যালটে সিল প্রদান, ব্যালট ছিনিয়ে নেয়া, ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়ার যেসব অনিয়ম দূর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ইভিএমে কারচুপির সুযোগ রাখার জন্যই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরবর্তীকালে ভোটের ফলাফল নিরীক্ষার জন্য ভোটার ভেরিফায়াবেল পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিএটি) রাখার কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি সুপারিশকেও উপেক্ষা করেছিল।
“সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ফলাফলের আসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আর্থিক অনিয়ম লুটপাট ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনৈতিক আচরণের সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দেখা ও নির্বাচন কমিশনকে যথাযোগ্য আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার আহবান জানানো হয়।
আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, জোবায়দা পারভীন, মোস্তফা আলমগীর রতন ও ইন্দ্রনী সেন শম্পা সভায় বক্তব্য দেন।