স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক শহীদ নূর হোসেনকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Published : 10 Nov 2020, 02:24 PM
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানের নূর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্টে) সর্বসস্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদ নূর হোসেনকে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, শ্রম সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সদস্য রিয়াজুল কবির কাউসার প্রমুখ।
নূর হোসেনের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় প্রেরণাদায়ক ও প্রত্যয়দীপ্ত একটি দিন। তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের পতনের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে বুলেটবিদ্ধ হয়ে নিহত হন যুবলীগকর্মী নূর হোসেনসহ তিনজন আন্দোলনকারী এবং আহত হন অসংখ্য নেতাকর্মী।”
নূর হোসেনের রক্তে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবারের নূর হোসেন দিবসের অঙ্গীকার।”
শহীদ নূর হোসেন যে আদর্শ ও মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভূলুণ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“গণতন্ত্রের মোড়কে ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী অপশক্তি জামায়াতের রাজনীতিকে পুনর্বাসিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসিত ও প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।”
বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, গণতন্ত্রকে বিনষ্টের চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন।”