আকস্মিক ঢাকা সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা জনগণকে সরকারের জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নজরুল ইসলাম খান।
Published : 19 Aug 2020, 06:00 PM
বুধবার জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আজকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের পররাষ্ট্র সচিব উনি আসতেই পারেন আমাদের দেশে যে কোনো সময়ে। কিন্তু তিনি এসে কী কথা বলেছেন, এটা ছিল গোপন। কী আলোচনা হয়েছে আমরা এই সম্পর্কে ডিটেইলস জানিও না। পত্রিকায় যেটা দেখলাম, সেটা হলো বন্ধুত্বের যে দুর্বলতা সেটা মেরামত করার জন্যে উনি এসছেন।
“এটা সরকারের দায়িত্ব কী তাদের সাথে আলোচনা হলো এবং সরকারের অবস্থান কি ছিল সেটা জনগণের কাছে বর্ণনা করা, জনগণকে জানানো। আমরা আশা করব যে, জনগণের অধিকার আছে জানার যে, পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে সরকার কী বলছে বা কী করছে। এটা জনগনকে জানানো সরকারের দায়িত্ব।”
নজরুল বলেন, এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে, জনগণকে জানানো হয় নাই। এমনকি বহু চুক্তি হয়েছে, যেগুলো এখনো প্রকাশ করা হয় নাই।
গত মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। গত রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও দেখা করেছেন। বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা না- এই আদর্শে বিশ্বাস করে; সমমর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক চায়।
“কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, যে কারণে তিনি এসে থাকুন না কেন আমাদের সরকার যারাই দায়িত্বে আছেন জোর কইরা হোক, ভোট ছাড়া হোক, দায়িত্বে তারা। তাদের দায়িত্ব হল- দেশের স্বার্থ সুরক্ষা করা।
“ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের এই সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের স্বার্থ সুরক্ষা হবে- এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আমরা আশা করতে চাই। যেমন পত্রিকায় এসেছে এই সফর আনুষ্ঠিকতা- এটা যেন না হয়।”
‘জিয়া ফুটনোট হলে ওবায়দুল কাদের কিছুই না’
জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের ‘ফুটনোট’ বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্য, উনি একটা দলের সাধারণ সম্পাদক। তার বক্তব্যকে এদেশের রসিকতা বা ভাঁড়ামি বলে মনে করে। জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতা লড়াইয়ের ফুটনোট হয় তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেব স্বাধীনতার কিছুই না। এদেশের মানুষ নিজেদের কানে যার কণ্ঠ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছেন তার নাম মেজর জিয়া।”
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নজরুল ইসলাম খান সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেন এবং নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলীসহ মহানগর নেতারা এসময় সেখানে ছিলেন।