জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
Published : 17 Mar 2020, 09:43 PM
তিনি বলেছেন, “ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ গড়ে তুলে তার আলো ছড়িয়ে দেব। কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।”
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’-এ শুরুর দিকে কামাল চৌধুরীর লেখা ও নকীব খানের সুরারোপিত উৎসব সঙ্গীত ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা’ গানটি পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা সব সঙ্গীতশিল্পীরা। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান শেখ রেহানা।
এরপর বাবার জন্মশতবর্ষে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতির ছোট কন্যা।
দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে শেখ রেহানা বলেন, “এ দিনে আমরা সকলে মিলে অঙ্গীকার করি, আমাদের যা কিছু আছে, তা নিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাব। সুন্দর, সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্য-দুর্নীতি ও নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়ব। সোনার বাংলাকে ভালোবাসব। পরশ্রীকাতরতা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখব।”
তিনি বলেন, “আমার বাবা আমাদের মাঝে নেই, তিনি আছেন কোটি মানুষের হৃদয়জুড়ে।”
বিশেষ এই ক্ষণে শেখ রেহানা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুর মা সায়েরা খাতুন, বাবা শেখ লুৎফুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর চির দিনের সুখে দুঃখের মরণের সাথী তার প্রিয় রেণুকে (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব)।
শেখ রেহানা বলেন, “বাবা বলতেন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। একটা মানুষ দেশের জন্য, মানুষের জন্য কতখানি ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তা আমরা খুঁজে পাই তারই লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে।
“কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি তিনি। লোভ-লালসা ভোগ বিলাস থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। করেননি আপস। মানবকল্যাণই ছিল তার ধ্যান ধারণা, বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে। এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আসেন। আসলেও তারা ক্ষণস্থায়ী হন।”
পরে বাবাকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।